ইহসানুল করিম হেলাল আবারও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নিযুক্ত হয়েছেন। চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত প্রেস সচিবকে আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় আরও দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আজ রোববার (১৯শে জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহা. রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগের চুক্তির ধারাবাহিকতা ও অনুরূপ শর্তে ১৮ই জুন অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য সরকারের সচিব পদ মর্যাদা ও বেতনক্রমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হলো।

এর আগে, ২০১৫ সালের ১৫ জুন ইহসানুল করিমকে এক বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৬ জুন তার চুক্তির মেয়াদ তিন বছর বাড়ানো হয়। শেখ হসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৯ সালের ১০ জুন তার চুক্তির মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হয়। এবার বাড়ানো হলো দুই বছর।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

ইহসানুল করিম কুষ্টিয়া জেলার এক সম্ভ্রন্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করে সাংবাদিকতা শুরু করেন। জাতির পিতার উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাসস’র নয়াদিল্লি সংবাদদাতা হিসেবে ভারতে ৫ বছর কাজ করেন।

২০০৯-২০১৩ সালে তিনি বাসস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি বিবিসি ও পিটিআই এর বাংলাদেশ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। ইহসানুল করিম ২০১৩-২০১৫ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করেন। ২০১৫ এর জুন থেকে গত ৭ বছর যাবৎ তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে জনাব করিমের চুক্তির মেয়াদ ১৮ জুন ২০২২ থেকে পরবর্তী ২ (দুই) বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর সহধর্মিণীর নাম মমতাজ শিরিন করিম। তাঁদের এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।